নীলকণ্ঠ জয়
হে আমার মৃত্যু প্রসবিনী,
খুব জানতে ইচ্ছে হয়, কেন তুমি নিরবে এসেছিলে প্রজাপ্রতির ডানায় ভর করে, বাতাসের স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় উড়তে-উড়তে? কেনইবা তবে চলে গেলে সঙ্গোপনে? বিদায় জানানো হয়নি তোমায়। বিদায় বেলায় কিইবা বলার ছিলো বলো? আমি তো জানতাম যে তুমি চলে গিয়েছো, আসবে না ফিরে আর কোনদিন এই চেনা পথে, আমার আপন বাটে। তাই বুঝি বলেছিলে তুমি, ‘তোমার ভবিতব্য কষ্টের প্রতিচ্ছবির আরেক নাম দেবযানী।’
মনে কি পড়ে সেদিনের কথা? যেদিন সূর্যদেবতা হিংসে করে পুড়িয়েছিলো তোমায় আমায় ভরা শ্রাবনেও। খুব হেসে বলেছিলে,’ এসেছিলেম শ্রাবণ ধারায় ভিজতে, হায় পোড়া কপাল! খবর পেয়ে মেঘেরাও পালিয়ে গেলো আজ।’ আমি বলেছিলাম,’ তুমিও বুঝি এমনি করে দুঃখ হয়ে পালিয়ে যাবে?’ শুনে রহস্যময় হাসি হেসে বলেছিলে,’ মহুয়া বনে যাই নি বলে যে মহুয়ার সুরভীও গায়ে মাখি নি, এমনটা ভেবো না কখনো। ভদ্রপল্লীর ঈশ্বরও মাঝে মাঝে আমার নোংড়া কাঁদাজলে আছড়ে পড়েন। পা ধুতে, ধুতির কাঁদা মুছতে ঠিকই আমার কল পাড়ে আসেন ক্ষণে ক্ষণে। সে আমার সৌভাগ্য। ভাগ্যিস আমার কাঁদাজল ছিলো!’ তোমার কথার অর্থভেদ করার মতো জ্ঞান ছিলো না তখন আমার। তবে আজ বুঝেছি ভদ্রপল্লীর ঈশ্বর প্রতিনিয়তই কেনো তোমার কাঁদাজলে হাবুডুবু খেতো!
আর তাই বুঝি সেদিনের টইটম্বুর আঁধারে আমার জ্বলন্ত যৌবনে অবগহনের পূর্বে একবারের জন্যও বৈধ্যতার ঘ্রাণ খুঁজে দেখো নি তুমি? যখন ঝড় থেমে গিয়েছিলো তখন অপরাধীর মতো আমার নিভে যাওয়া আগুনেই মুখ লুকিয়েছিলে ? শীতল স্পর্শে আঁধার প্লাবিত সমুদ্রে আরো কিছুক্ষণ ছিলাম তুমি আর আমি। সেই প্রথম, সেই শেষ। এখন বুঝি, ওগুলো ছিলো স্রেফ অভিনয়। যৌবনের ভরা বসন্তের উন্মাতালা আলোড়ন। ভালোবাসা আমারই ছিলো , তুমি ছিলে মিথ্যে প্রহসন!!
জানো তো? যেদিন তোমায় পেলাম, সেদিন খুব গর্ব হয়েছিলো। বলেছিলাম, ‘কুলীনদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারি বা না পারি, মনের জোরেই চুরি করে এনেছি তোমায়, কুলীন পাড়ার শ্রেষ্ঠ্য গোলাপটিকে।’ আজ আমি একাকিই হাসি, বাঁকা হাসি! কারণ ভুল করে গোলাপ ভেবে মৃত্যুকেই চুরি করে এনেছিলাম সেদিন!
তবুও, তুমি আমার হৃদয়ে আলো নিভে যাওয়া মৃদু অন্ধকারে মৃত্যুর আরেক নাম হয়ে মিটমিট করে জ্বলছো আজও। আমার জীবনের বসন্ত পেরিয়ে প্রথম মৃত্যুর দ্বিতীয় উপাখ্যান হয়ে রইবে চীরকাল।
খুব জানতে ইচ্ছে হয়, কেন তুমি নিরবে এসেছিলে প্রজাপ্রতির ডানায় ভর করে, বাতাসের স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় উড়তে-উড়তে? কেনইবা তবে চলে গেলে সঙ্গোপনে? বিদায় জানানো হয়নি তোমায়। বিদায় বেলায় কিইবা বলার ছিলো বলো? আমি তো জানতাম যে তুমি চলে গিয়েছো, আসবে না ফিরে আর কোনদিন এই চেনা পথে, আমার আপন বাটে। তাই বুঝি বলেছিলে তুমি, ‘তোমার ভবিতব্য কষ্টের প্রতিচ্ছবির আরেক নাম দেবযানী।’
মনে কি পড়ে সেদিনের কথা? যেদিন সূর্যদেবতা হিংসে করে পুড়িয়েছিলো তোমায় আমায় ভরা শ্রাবনেও। খুব হেসে বলেছিলে,’ এসেছিলেম শ্রাবণ ধারায় ভিজতে, হায় পোড়া কপাল! খবর পেয়ে মেঘেরাও পালিয়ে গেলো আজ।’ আমি বলেছিলাম,’ তুমিও বুঝি এমনি করে দুঃখ হয়ে পালিয়ে যাবে?’ শুনে রহস্যময় হাসি হেসে বলেছিলে,’ মহুয়া বনে যাই নি বলে যে মহুয়ার সুরভীও গায়ে মাখি নি, এমনটা ভেবো না কখনো। ভদ্রপল্লীর ঈশ্বরও মাঝে মাঝে আমার নোংড়া কাঁদাজলে আছড়ে পড়েন। পা ধুতে, ধুতির কাঁদা মুছতে ঠিকই আমার কল পাড়ে আসেন ক্ষণে ক্ষণে। সে আমার সৌভাগ্য। ভাগ্যিস আমার কাঁদাজল ছিলো!’ তোমার কথার অর্থভেদ করার মতো জ্ঞান ছিলো না তখন আমার। তবে আজ বুঝেছি ভদ্রপল্লীর ঈশ্বর প্রতিনিয়তই কেনো তোমার কাঁদাজলে হাবুডুবু খেতো!
আর তাই বুঝি সেদিনের টইটম্বুর আঁধারে আমার জ্বলন্ত যৌবনে অবগহনের পূর্বে একবারের জন্যও বৈধ্যতার ঘ্রাণ খুঁজে দেখো নি তুমি? যখন ঝড় থেমে গিয়েছিলো তখন অপরাধীর মতো আমার নিভে যাওয়া আগুনেই মুখ লুকিয়েছিলে ? শীতল স্পর্শে আঁধার প্লাবিত সমুদ্রে আরো কিছুক্ষণ ছিলাম তুমি আর আমি। সেই প্রথম, সেই শেষ। এখন বুঝি, ওগুলো ছিলো স্রেফ অভিনয়। যৌবনের ভরা বসন্তের উন্মাতালা আলোড়ন। ভালোবাসা আমারই ছিলো , তুমি ছিলে মিথ্যে প্রহসন!!
জানো তো? যেদিন তোমায় পেলাম, সেদিন খুব গর্ব হয়েছিলো। বলেছিলাম, ‘কুলীনদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারি বা না পারি, মনের জোরেই চুরি করে এনেছি তোমায়, কুলীন পাড়ার শ্রেষ্ঠ্য গোলাপটিকে।’ আজ আমি একাকিই হাসি, বাঁকা হাসি! কারণ ভুল করে গোলাপ ভেবে মৃত্যুকেই চুরি করে এনেছিলাম সেদিন!
তবুও, তুমি আমার হৃদয়ে আলো নিভে যাওয়া মৃদু অন্ধকারে মৃত্যুর আরেক নাম হয়ে মিটমিট করে জ্বলছো আজও। আমার জীবনের বসন্ত পেরিয়ে প্রথম মৃত্যুর দ্বিতীয় উপাখ্যান হয়ে রইবে চীরকাল।
ইতি
সদ্য মৃত কোনো এক আত্মার কার্বন কপি।
সদ্য মৃত কোনো এক আত্মার কার্বন কপি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন