ইবোলা, উড়ন্ত ভালুকবল ও প্রিয়াঙ্কা

(একটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী)

ধীমান বসাক


     প্রিয়াঙ্কার ঠাকুর্দা অর্থাৎ আমার বাবা ১৯৬৩ সালে তদানিন্তন পুর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার টাংগাইল মহকুমার ভাতকুড়া গ্রাম ছেড়ে একবস্রে পালিয়ে এসে ভারতের নদীয়া জেলার ফুলিয়াতে আশ্রয় নেন। তিনি ছিলেন খুব জ্ঞানী ব্যক্তি। সেই আমলের Bsc.(chemistry) পাশ। উনি পড়াশোনা করেছিলেন করটিয়ার বিখ্যাত সাদৎ কলেজ থেকে। টাংগাইলের মসজিদ রোডের বস্রবিতান নামক তখনকার অভিজাত বিপনী তিনিই স্থাপন করেছিলেন। এখনো বিপনীটি আছে। করটিয়ার বিখ্যাত জমিদার ওয়াজিদ আলি পন্নী উনার সহপাঠী ছিলেন। সাদৎ কলেজ উনার পিতা প্রতিষ্ঠা করেন। প্রিয়াঙ্কার পিতৃপুরুষরা আদতে ঢাকার কাছে ধামরাই-এর বাসিন্দা ছিলেন। তাঁরা মসলিন শাড়ী তৈরী করতেন। সেই মসলিন শাড়ী যা ঔরঙ্গজেবের রাজসভায় ভগ্নী জাহানারা সাত প্যাঁচ দিয়ে পড়ে যাওয়া স্বত্তেও, স্বচ্ছ বসন পড়ার জন্য ঔরঙ্গজেব ভগ্নীকে তিরষ্কার করেছিলেন। ঐ মসলিন শাড়ী ছোট দেশলাই বাক্সে স্বচ্ছন্দে ভরে রাখা যেত। ঐ শাড়ী সাত ভাঁজ করে পেঁচালেও একটি আঙটির ভিতর দিয়ে খুব সহজেই গলে যেত। ইংরেজ আমলে শিল্প বিপ্লবের সময় ম্যানচেষ্টারের মোটা কাপড় বাঙ্গালীদের বিক্রি করার জন্য ইংরেজরা ধামরাই-এর বসাকদের (তাঁতী) ডান ও বাঁহাতের বুড়ো আঙ্গুল কেঁটে দেয় ও ধামরাই থেকে বিতাড়ন করে। প্রিয়াঙ্কার পূর্বপুরুষদের করটিয়ার জমিদার পন্নীরা ভাতকুড়া গ্রামে জায়গা দেন। ফলে ১৯৫০ সালে জমিদারী প্রথা সরকার বিলোপ করলেও তাঁতীরা পন্নীদের খাজনা দিত। তবে ইংরেজরা চীনের সাথে শত্রুতা করে মসলিন সুতো আমদানীর সিল্ক রুট বন্ধ করার ফলে মসলিন সুতো অমিল হয়ে পড়ে। তাঁতীরা বাধ্য হয়ে ১২০ কাউন্টের সরু সুতির সুতো দিয়ে শাড়ী তৈরী শুরু করে। তখন থেকেই বিখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়ীর উৎপত্তি।

    সেই সময় টাংগাইলের কাছে সন্তোষ-এর জমিদারনী ছিলেন মহিলা। জাহ্নবী দেবী চৌধুরাণী। তাঁর ঊর্ধতন তিন প্রজন্ম বিন্দুবাসিনী দেবী চৌধুরানীর নামে টাংগাইল শহরে ছেলেদের ও মেয়েদের দুটি শতবর্ষ প্রাচীন উচ্চবিদ্যালয় আছে। বিন্দুবাসিনী সরকারী উচ্চ (বালক/বালিকা) বিদ্যালয়। জাহ্নবী দেবী খাজনা না দিয়ে তর্ক করার অপরাধে তাঁর এক প্রজাকে গুলি করে মেরেছিলেন বলে তাঁর নাম হয়েছিল জানমারা চৌধুরাণী।
    এই জানমারা চৌধুরাণীর অধীনে কেমিষ্টের কাজ করতেন প্রিয়াঙ্কার ঠাকুর্দা। সেই সময়ে করটিয়ার অনতিদূরে মির্জাপুরে ছিলেন রনদাপ্রসাদ সাহা। তাঁদের ছিল জাহাজের ব্যবসা। নারায়নগঞ্জ থেকে কলকাতা, চট্টগ্রাম, করাচী, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি জায়গায় যেত সেসব জাহাজ। মেয়েদের পড়াশোনার জন্য তিনি গড়ে তুলেছিলেন ভারতেশ্বরী হোমস্। যা আজো আছে। তাঁর সবচেয়ে বড় কীর্তি মির্জাপুর হাসপাতাল। বিনা ব্যয়ে অতবড় হাসপাতাল (কোন প্রকার সরকারী সাহায্য ছাড়া) সারা বিশ্বে বিরল ছিল।
     পাক সরকার হাসপাতালটি অধিগ্রহন করে তিন দিনের বেশী চালাতে না পেরে মালিককে ফেরত দেয়। পাকিস্তানের পতনের সময় ১৯৭১-এর ডিসেম্বর মাসে পাকবাহিনী তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।
    প্রিয়াঙ্কার ঠাকুর্দার শ্বশুড়বাড়ী ছিল টাঙ্গাইল সদরের প্যড়াডাইস পাড়ায়। শ্বশুর গোপেশ্বর বসাক ছিলেন শৌখীন ব্যক্তি। প্যড়াডাইস পাড়া সত্যিই স্বর্গের পাড়া ছিল। নদীতে জাহাজ চলতো। নদী সংলগ্ন খালে পান্সী নৌকো আসতো বিভিন্ন পসরা নিয়ে বানিজ্য করতে। প্রিয়াঙ্কার ঠাকুর্দা নৌকোয় করে ভাতকুড়া থেকে নারকেল, পাটকাঠি প্রভৃতি নিয়ে বড় পুলের তলা দিয়ে ঢুকে বেতকা হয়ে টাঙ্গাইল খাল ধরে ঘ্যাগের দালানের পাশের পুলের তলা দিয়ে, মন্ডল বাড়ী পাশ কাটিয়ে শ্বশুড় বাড়ীর সামনে নৌকা থেকে নামতেন। তখন টাঙ্গাইল শহরের বাস সার্ভিস ছিল দুটি। দুটিই প্যাড়াডাই পাড়ায়। নদীর ধারের আরফান কোম্পানীর বাস আর খাল পাড়ের মীর্জাদের বাস সার্ভিস। এবার প্রিয়াঙ্কা গিয়ে দেখে প্যাড়াডাইস পাড়া হেল পাড়া হয়েছে। মীর্জা, আরফান, গোপেশ্বর কেউ নেই। বাস সার্ভিস উঠে গেছে, জরাজীর্ণ বাড়ী ঘর, নদী খাল ও খাল ড্রেন হয়েছে। পুরসভা ড্রেনের পাশে শহরের নোংরা ফেলে, শহরের একমাত্র পার্ক-এ বাজার বসেছে।
    যাক সেসব কথা। সব লিখতে গেলে আরেকটা বিষাদ সিন্ধু হয়ে যাবে। ১৯৬৩ সালে টাংগাইলে এক ভয়ানক রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। জ্বরের উপসর্গ নিয়ে রোগীরা মির্জাপুর হাসপাতালে ভর্তি হতে শুরু করে, তারপর তাদের মুখ ও হাত পা ট্যাপা মাছের মতো ফুলে যায়। বিভৎস চেহারা হয় তাঁদের। তিন দিনের মধ্যে মৃত্যু। রনদাপ্রসাদ সাহা জাহ্নবী দেবীর কাছে সাহায্য চেয়ে পাঠান। উনি প্রিয়াঙ্কার ঠাকুর্দাকে সেখানে পাঠান। সেই যুগেও প্রিয়াঙ্কার ঠাকুর্দা দেশবিদেশের খবর রাখতেন। তিনি অচিরেই আবিষ্কার করলেন রোগটি আফ্রিকার, নাম ইবোলা। তিনি এও বুঝতে পারলেন ঐ রোগের ভাইরাস কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে ছড়িয়েছে। তিনি অচিরেই ঐ রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার করে রোগীদের সুস্থ করে ফেললেন। ঐ সুস্থ হওয়া রোগীদের মধ্যে একজন একদিন রাতে এসে তাঁকে বললো যে পাকিস্তান সরকারের নির্দেশে বাঙ্গালীদের ধ্বংস করার জন্য সেই ঐ ভাইরাস ছড়িয়েছিল। কিন্তু ঐ ভাইরাসে সেও আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তার প্রাণ বাঁচানোর জন্য সে প্রিয়াঙ্কার ঠাকুর্দাকে ধন্যবাদ দিয়ে জানায় উনি যেন তাড়াতাড়ি ভারতে পালিয়ে যান, নইলে প্ল্যান ভন্ডুলের দায়ে পাক সরকার তাঁকে হত্যা করবে।
    ভাতকুড়া গ্রামে প্রিয়াঙ্কার ঠাকুর্দার আলি নামে এক ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল। তাকে নিয়ে সেদিনই তিনি মধুপুরের জঙ্গলের ভিতরে এক জলাশয়ের ধারে গিয়ে অশ্বত্থ গাছের পাশে ইবোলা নির্মূলের ফরমুলা পুতে রাখলেন। তারপর ঐ স্থানের একটি নকশা তৈরী করে আলির কাছে দিলেন। আলির দাঁত ছিলনা, তাই সবাই তাকে দন্তহীন(!) আলি বলতো। সেই রাতেই আলি প্রিয়াঙ্কার ঠাকুর্দাকে পরিবার সহ চারাবাড়ী দিয়ে নৌকায় করে ভারতে পৌছে দিয়ে আসে। বিদায়ের সময় দুই বন্ধুর সে কী কান্না!
নদী চর খাল বিল গজারীর বন, টাঙ্গাইল শাড়ী তাঁর গরবের ধন।।
    এবার ইবোলার সংক্রমন শুরু হতেই বাবা আমাকে টাঙ্গাইলের ভাতকুড়া গ্রামে বন্ধুবর আলির সাথে দেখা করতে বললেন। কিন্তু আমি সরকারী চাকরি করি, কী করে যাব। সরকার NOC- দেবে না। তাই কলেজে পড়া প্রিয়াঙ্কাকেই পাঠানো ঠিক হলো। আমার বাবা প্রিয়াঙ্কাকে সব ঠিক করে বুঝিয়ে দিলেন। দন্তহীন আলির কথা বলে উনি একটু হাসলেন।
    সফরসূচি বিস্তারিত লিখলে গল্প অনেক লম্বা হয়ে যাবে। তাই সংক্ষেপিত করছি। প্রিয়াঙ্কা টাঙ্গাইল এসে দেখে ঠাকুর্দা কথিত সব বদলে গেছে। টাঙ্গাইল এখন উন্নত জেলা হয়েছে। লৌহজঙ নদী সরু খাল হয়ে গেছে, তার উপড়ে লোকে খাটা পায়খানা বানিয়েছে। খালটিকে পুরসভা ড্রেন বানিয়েছে, বিল পুকুর হয়ে গেছে। পার্কটি বাজার হয়েছে। ভাগ্যিস ঠাকর্দা আসতে পারেননি, এসব দেখলে উনার হার্টফেল হতো! কোন রকমে ভাতকুড়া গ্রামে যাওয়া হল। সেখানে কেউ দন্তহীন আলিকে চেনে না। অবশেষে ওর বয়সী একটি মেয়ের সাথে দেখা হল। মেয়েটির নাম নাজমা। সাদৎ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রসায়ন অনার্স নিয়ে পড়ে। প্রিয়াঙ্কাও রাণাঘাট কলেজে রসায়ন অনার্স নিয়ে পড়ে। নাজমা বললো- ‘তুমি ভারত থেকে এসেছো? চলো আমাদের বাড়ী।’ প্রিয়াঙ্কাকে ওদের বাড়ী নিয়ে গিয়ে নাজমা জানালো আলি ওর নানা। আর আলিকে কেউ দন্তহীন বলে চেনে না, চেনে ফোকলা আলি বলে। এতক্ষনে প্রিয়াঙ্কা ঠাকুর্দার হাসির কারণ বুঝতে পারলো। নাজমা আরো জানালো সাতদিন আগে তিনি মারা গেছেন, তবে মরার আগে নাজমার কাছে সব কথা বলে নকশাটি দিয়ে গেছেন। তিনি আরো বলে গেছেন ভারত থেকে তার বন্ধুর বংশের কেউ আসবেই, কারণ আবার ইবোলা আক্রমন করেছে। মরার সময় তিনি কাঁদছিলেন, আর বলছিলেন, ‘আমরা দুজন এক গাঁয়ে ছিলাম, সেই ছিল আমাদের একমাত্র সুখ।’ প্রিয়াঙ্কা খুব দুঃখ পেলো, ভাবলো ঠাকুর্দা শুনলে আর বাঁচবে না। রাতে খাওয়া দাওয়ার পরে ঠিক হলো পরদিন ভোরেই মধুপুর যাওয়া হবে।
    পরদিন মধুপুর পৌঁছে খুব হতাশ হলো প্রিয়াঙ্কা। গজারীর বন কেটে প্রায় সাফ করে ফেলেছে! যাই হোক নির্ধারিত স্থান (যা ছিল অনেক ভিতরে) দেখা গেল পচা এক ডোবা। বিকট গন্ধ বেরুচ্ছে। মৃত প্রায় অবস্থায় অশ্বত্থ গাছটি ছিল। একটু খোঁজাখুঁজি করে পাথরের হাড়ির ভিতর থেকে অক্ষত অবস্থায় ফরমুলা এবং তার সাথে দুই শিশি ভর্তি ইবোলার প্রতিষেধক পাওয়া গেল।
    জায়গাটি নির্জন। জনমানুষ নেই। গা ছমছম করে। হঠাৎ একটি ভালুক বেড়িয়ে এসে ওদের তাড়া করলো। ওরা পচা ডোবার পার দিয়ে দৌড়াল। ভালুকটি ওদের ধরার জন্য প্রায় শুকনো ডোবার মাঝখান দিয়ে দৌড়ালো। কিছুদূর দৌড়েই ভালুকটি পড়ে গেল, অনেকবার ওঠার চেষ্টা করলো, কিন্তু উঠতে পারলো না। প্রিয়াঙ্কারা নিরাপদ দূরত্বে দাড়িয়ে সব লক্ষ করছিলো। কিছুক্ষন পরে ভালুকটি উঠলো, কিন্তু অবাক কান্ড, পা উপড়ে মাথা নীচে, পেট বেলুনের মতো ফুলে গেছে। আসলে পচা ডোবায় মিথেন ও ফসফরাস গ্যাস তৈরী হয়। ফসফরাস রাতে জ্বলে তাই লোকে পুরানো ডোবায় ভুতের আলো দেখতে পায়। এদিকে ভালুকটি পড়ে যাওয়ার ফলে ওর পেটে মিথেন গ্যাস ঢুকে যায়, পেট বেলুনের মতো ফুলে যায় আর ভালুক ভেসে চলে বাতাসে। ভাসতে ভাসতে ভালুকটি নাজমাদের মাথার উপড়ে এলো। ও প্রানপন চেষ্টা করছিল কোনকিছু আঁকড়ে ধরে বাঁচার জন্য। প্রিয়াঙ্কারা ওকে ধরতে সাহায্য না করায় ও খুব বিরক্ত হলো নাজমাদের উপরে। তারপর ভালুকটি ধীরে ধীরে শূন্যে মিলিয়ে গেল। প্রিয়াঙ্কারা ফিরে এলো ভাতকুড়া গ্রামে।
     প্রতিষেধকের সাথে স্পষ্ট করে লেখা ছিল যেখানে ইবোলা সংক্রমন হয়েছে তার আশেপাশে সংগোপনে একফোঁটা প্রতিষেধক ছড়িয়ে দিলেই ঐ ভাইরাস মরে যাবে। তবে সাবধান বানী ছিল, ‘যদি জানাজানি হয় তবে বহুজাতীক ঔষধ কোম্পানী গুলি ক্ষতি করবে, ব্যবসার জন্য ওরা যা খুশি করতে পারে।’ ওরা দুজনে অঙ্গিকার করলো সারাজীবন মানুষের ভালোর জন্য সচেষ্ট থাকবে এবং ওদের বন্ধুত্ব বজায় রাখবে।
    এবার বিদায়ের পালা। কেউ কাঁদলো না কারণ আধুনিক যুগে যোগাযোগের জন্য FACEBOOK আছে, WHATS APP. আছে, SKYPE আছে।
    বাড়ী ফিরে ঠাকুর্দাকে সব বলতেই তিনি বেজায় খুশী। বারে বারে জানতে চাইলেন বন্ধুর কথা। অবশেষে বলতেই হলো। তিনি শুনে চুপ করে গেলেন। একটু পরে বলে উঠলেন- ‘আমরা দুজন এক গাঁয়েই থাকবো, আমি আসছি আলি।’
    ঠাকুর্দার মৃত্যুর জন্য এক দিন ফেসবুকে বসা হয়নি। নাজমার WHATS APP. বার্তা এলো, ‘শিগগীর SKYPE -এ বস।’ প্রিয়াঙ্কা SKYPE সংযোগ করলো। নাজমাকে দেখা গেল। নাজমা বললো, ‘সেই ভালুকটি শূন্যে উঠে ঠান্ডায় বরফের বল হয়ে ভারী হয়ে যায়। ফলে আজ সকালে সেই বরফের গোলারুপী ভালুকটি টাঙ্গাইলের প্যাড়াডাইস পাড়ায় মীর্জাদের বাড়ীতে আছড়ে পড়ে। সবাই প্রথমে খুব ভয় পেয়ে যায়। পরে ভালুক দেখে সবাই তার লোম ছিড়ে নিয়েছে। ওটার আর কোন অস্তিত্ব নেই। বিভিন্ন গুজবে টা্ঙগাইল শহর তোলপার, আমি কাউকে কিছু বলিনী, বলবোও না। বলে নাজমা হাসলো, প্রিয়াঙ্কাও হাসলো। ওদের হাসিতে পৃথিবী নির্মল হয়ে উঠলো।

*******




লেখক পরিচিতি


জন্মস্থানঃ

বর্তমান বাসস্থানঃ

পেশাঃ

প্রকাশিত বইঃ

পুরস্কার/সম্মাননাঃ




শেয়ার করুন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন