তৃতীয়বর্ষ : বর্ষা সংখ্যা
সম্পাদকীয়
আর একটা বর্ষাকাল। বৃষ্টির স্নিগ্ধ শীতলতা শুকিয়ে যাওয়া গাছের শীর্ণতাকে আবেশ বুলিয়ে আনে সবুজের জোয়ার। প্রকৃতিও খানিক হাঁপ ছেড়ে বাঁচে। চাতক তার তৃষ্ণা মিটিয়ে নেয় খুশিমতো। সমাজে ধর্ম, রাজনীতি, শিক্ষা, মানবতা আজ বিপথগামী। সংকীর্ণ চর্চার কালি মেখে পাণ্ডিত্যের ডিগ্রি নিতে ব্যস্ত। বিশ্বজুড়ে ক্রমশ জমে উঠছে হিংসা ও আতঙ্কের বারুদস্তূপ। বিভেদের বেড়াজালে বন্দি মানুষ চেয়ে আছে দু-দণ্ড শান্তি ও সুখের আশায়। সাহিত্যের কলম সমাজকে প্রতিফলিত করে যায় নীরবে। ফুটপাথে জীর্ণ বস্ত্রে শীর্ণ শিশু অভুক্ত চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। বাউল তাঁর ছেঁড়া একতারায় সুর তোলে কণ্ঠে– ‘আল্লা মেঘ দে পানি দে’। নির্ঝর বারির চুয়ে পরা ধারায় চোখ রেখে উদারমন স্বপ্ন দেখে- ‘একদিন, পৃথিবী আবার শান্ত হবে…’
পেয়েছি, অজস্র শিল্পসুন্দর ব্যক্তিত্বের সুষমা। মূল্যবান লেখা দিয়ে পত্রিকাকে
ধন্য করেছেন যারা এবং পত্রিকা প্রকাশে যাদের অকৃপণ সহযোগিতা পেয়েছি- তাদের জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
২২ শে শ্রাবণ, ১৪২৩